আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বিডিনিউজ ১০ ডটকম: মালয়েশিয়ায় কর্মরত বিদেশী কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা সুরক্ষা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ। এটি মালয়েশিয়ার সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার (সোসো) অধীনে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার (সোসো) অধীনে স্থানীয় নাগরিকরাই সুবিধা পেত; তবে এখন বিদেশী কর্মীদেরকেও এর আওতাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কর্মস্থলে দূর্ঘটনায় পরিমাণ কমাতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এটি বাস্তবায়ন হলে নিয়োগকর্তারা বিদেশী কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও স্বচেষ্ট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২১ নভেম্বর বুধবার মানব সম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
মানব সম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান জানিয়েছেন, বিদেশী কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাদের সোসো’র সঙ্গে নিবন্ধন করতে হবে এবং কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা আইন ১৯৬৯ (অ্যাক্ট ৪)-এর অধীনে কর্মসংস্থানে আঘাত প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, এতে কর্মসংস্থানে ক্ষতির পরিকল্পনার অধীনে চিকিৎসা সুবিধা, অস্থায়ী কর্ম অক্ষমতা সুবিধা, স্থায়ী অক্ষমতা সুবিধা এবং পুনর্বাসন সুবিধার পাশাপাশি ৬ হাজার ৫০০ রিঙ্গীত প্রত্যাবাসন খরচের মতো সুবিধাগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
দেশ জুড়ে মোট ৫৪টি সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার (সোসো) অফিস রয়েছে। এসবের যে কোনটিতে নিবন্ধন করা যাবে এবং এটি ব্যস্তবায়নে মন্ত্রণালয় সোসো’কে সঙ্গে নিয়ে শিগগির স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসবেন বলেও জানিয়েছে কুলাসেগারান।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে মালয়েশিয়ায় প্রায় ২.২ মিলিয়ন বিদেশী কর্মী ছিল। তাদের বড় একটি অংশ কৃষি ও নির্মাণ শিল্পে কর্মরত আছে।
এদিকে চলতি বছরে অন্য একটি সংস্থার প্রদিবেদনে দেখানো হয়, গত বছর এই দুই খাতে ৪০.৫ শতাংশ এবং উত্পাদন খাতে ২৩ শতাংশ বিদেশী কর্মীরা কাজ করেছে।